➨ Subject About Hacking....???
কম্পিউটার ব্যাবহারের একেবারে শুরু থেকেই হ্যাক করা বা হ্যাকিং প্রসঙ্গটা এসেছে। শুরুতে এটি মূলত সিষ্টেমের ত্রুটি বের করার কাজে আসলেও পরবর্তিতে তা অন্যান্য উদ্দ্যেশ্যে ব্যাবহার করা আরাম্ভ হয়। বর্তমানে এটি ব্যাপকভাবে আলোচিত-সমালোচিত হচ্ছে এবং প্রতিবাদের ভাষা হিসেবেও সামনে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় আমি এপ্রসঙ্গে কিছু তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।এই সিরিজে অনেক বিষয় না’চাইতেও চলে আসতে পারে। আপনারা দয়া করে শুধু মাত্র জানার উদ্দেশ্যে পড়ুন। বিষয়গুলো নিয়ে অবৈধ কাজে জড়িয়ে পড়লে তার দায় কোনোভাবেই এই লেখকের নয়। সম্পূর্ন আপনার। এই বিষয়ে লেখার একটিই কারন, তা হলো নিরাপত্তা সম্পর্কে আপনাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। কারন, চোরের চুরি করার পদ্ধতি না’জানলে যেমন চোর ধরা যায় না, ঠিক তেমনি নিরাপত্তা ভেদ করতে না’জানলে ভার্চুয়াল অপরাধীদের কাছথেকে নিজে তথ্য রক্ষাও করা যায় না।
আজকের বিষয়, ‘‘হ্যাকিং করতে যা যা ব্যাবহৃত হতে পারে’’
☠ হ্যাকিং করতে হলে আপনাকে প্রথমেই ভালোকরে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং জানতে হবে। প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের খুটিনাটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার পাশাপাশি আপনার এ বিষয়ে একটি স্বচ্ছ ধারনা থাকাটাও জরুরী। বিশেষ করে নেটওয়ার্কিং সম্পর্কে আপনার পরিষ্কার ধারনা থাকতে হবে। অনেকেই হ্যাক করা বলতে শুধু ওয়েব সাইট হ্যাকিংকেই বোঝেন। এটি ঠিক নয়। হ্যাকিং যেকোনো সিষ্টেমে এমনকি আপনার কম্পিউটারেও হতে পারে।
হ্যাক করার জন্য প্রাথমিক অবস্থায় অনেকেই হ্যাকিং টুলের সরণাপন্ন হন। আবার কিছু কিছু টুল, হ্যাকিং প্রতিরোধেও কাজে আসে। এমন বিভিন্ন ধরনের কিছু টুলের মধ্যে উদাহরণ হিসেবে, Nmap, Nessus, John the Ripper, SuperScan, p0f, এবং Winzapper অন্তর্ভুক্ত। এদের ভিতরে John the Ripper, Winzapper, p0f ছাড়া বাকিগুলো বেশিরভাগ পোর্ট স্ক্যানার হিসেবে কাজ করে। এই পোর্ট স্ক্যানারের বিষয়ে পরে আসছি। আপনারা আবার না’জেনে এইসব টুল জোগাড় করে হ্যাকিং শুরু করবেন না। কেননা, না’বুঝে হ্যাক করে ধরা খাওয়ার ঘটনা বহু আছে আমাদের সামনে। তাই এগুলো থেকে দূরেই থাকবেন। স্রেফ জানার জন্য পড়ুন।
সামাজিক ইঞ্জিনিয়ারিং হামলার সম্ভাব্য ব্যাবহারের সুযোগের জন্য ঘুষ-কে সবচেয়ে ক্ষমতাশালী হ্যাকিং টুল এর সাথে বিবেচনা করা হয়। কি, বিষয়টা আজব লাগছে? ভাবছেন ঘুষ কিভাবে হ্যাকিংয়ে কাজে আসে?
আসলে এটি হয় আমাদের স্বভাবজাত লোভের কারনে। অনেক সময় প্রলোভন দেখিয়ে আপনাকে হ্যাকারেরা বিভিন্ন সফটওয়্যার বা ফাইল বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে বলতে পারে বা হ্যাকার আপনার কাছের কেউ হলে সরাসরি আপনাকে সাধতে পারে। একটা উদাহরন দিলে বুঝবেন, যেমন মাঝেমধ্যে, সাধারণ সফটওয়্যার যেমন, ActiveX হিসাবে- সফ্টওয়্যার, একটি হ্যাকিংয়ের মাধ্যম হিসেবে ব্যাবহৃত হতে পারে বা হয়। কিংবা কোন গেম অথবা কোন Crack ফাইল, যা আপনাকে কোন সফটওয়্যারের ফ্রি ব্যাবহারের সুযোগ করে দেয়।
আজকাল আমরা বেশিরভাগই পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার করি। মনেকরি, অতো টাকা খরচ করে কি লাভ যখন সস্তায় এটি ব্যাবহার করা যায়! এন্টিভাইরাস প্রোগ্রাম গুলিও ক্রাক করে ব্যবহার করা হয়। যদিও জানামতে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় ২০১৩সাল পর্যন্ত পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহারের অনুমোদন আছে। কিন্তু আপনি এটা কখনোই নিশ্চিত হন না যে আপনার এই পাইরেটেড সফটওয়্যারের উৎস কোথায়। হতে পারে কোন হ্যাকার এটি তৈরি করে নেটে বসে আছে আপনার মূল্যবান তথ্য হাতাবার জন্য।
আপনি লোভে পড়ে নিয়ে ব্যাবহার শুরু করলেন আর, ওদিকে ইমেইলের মাধ্যমে আপনার অজান্তে ফেসবুক, পিসি, ইমেইল সবকিছুর পাসওয়ার্ড হ্যাকার বসে বসে পেয়ে গেলো। এরপর যখন নেটে যুক্ত হবেন, নেটে থাকবে হ্যাকার আর আপনার পিসিতে থাকবে তার গুপ্তচর প্রোগ্রাম। আপনার পিসির সবকিছু থাকবে সম্পূর্ন হ্যাকারের দখলে। অবশ্য আপনি কখনোই ইন্টারনেটে যুক্ত না হলে সেটি ভিন্ন কথা। তবে ক্ষতি করার ইচ্ছা থাকলে খুব সহযেই এই পথে করা যায়। আপনার পিসিতে ধংসাত্মক কোনো প্রোগ্রাম এভাবেই প্রবেশ করে। এটিতে বেশি ঝুকিতে পড়ে বিভিন্ন কর্পোরেট অফিসের পিসিগুলো এবং ব্যাক্তিমালিকানায় থাকা কম্পিউটার যেগুলো সবসময় নেটে যুক্ত থাকে।
মনে করেন আমিই এখানে বা অন্য কোনো সাইটে আপনাকে ফ্রি কোনো এন্টিভাইরাস কিংবা কোনো মূল্যবান সফটওয়্যারের সম্পর্কে পোষ্ট করলাম। আপনি লোভে পড়ে সেটি ডাউনলোড করে চালাতে শুরু করলেন। ব্যাস, ঐ ফাইলের সাথে থাকা আমার গুপ্ত প্রোগ্রাম কাজ শুরু করে দিয়েছে। দেখুন, আপনার এন্টিভাইরাস যেটি বর্তমান আছে সেটি কেমনযেন দূর্বল হয়ে গেছে। নেটে আপনি তেমন গতি পাচ্ছেন না। এমনি এমনি আপনার ডাটা ফুরিয়ে যাচ্ছে। আপনার পিসির কমান্ড Propamt ঠিকমত কাজ করছে না।
ঐদিন ভুলে আপনি পিসির পাওয়ার এবং নেট কানেকশন মেন্যুয়ালি বিচ্ছিন্ন না করলে আরো বিপদ। কারন, আমি তো আপনার তথ্য হাতাবার জন্য বসে আছি। আপনার সব গোপন বিষয় জানার পরে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন কিংবা সব তথ্য পিসি থেকে মুছে ফেলা সহ যা কিছু খুশি, করতে পারি।
তাই আপনার সন্দেহ হলে অবশ্যই একেবারে গোড়া থেকে পিসির পাওয়ার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেবেন।
tnx
ReplyDeleteThank you to inform us about hacking..
ReplyDelete